এখানে দশটা স্কলারশিপ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে, পঞ্চম থেকে পোস্ট গ্রাজুয়েট ও হায়ার লেভেল এডুকেশনের জন্য যে সমস্ত স্কলারশিপ গুলো আছে সেগুলো বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়েছে।
চ্যানেলের নতুন ভিউয়ার্স হলে সাবস্ক্রাইব করে রাখুন এবং ভিডিওতে একটি লাইক করে রাখুন। পরবর্তীতে স্কলারশিপ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আপডেট পেয়ে যাবেন এই চ্যানেলেই|
১. পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বামী বিবেকানন্দ মেরিট কাম মিন্স স্কলারশিপ (SVMCM):
পশ্চিমবঙ্গ সরকার মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করে। স্নাতক পর্যায়ে আবেদনকারীদের উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৭৫% নম্বর থাকতে হবে। তবে, সংরক্ষিত শ্রেণির (SC/ST/OBC) শিক্ষার্থীদের জন্য নম্বরের ক্ষেত্রে কিছু শিথিলতা রয়েছে। পরিবারের বার্ষিক আয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে। বৃত্তির পরিমাণ প্রতি মাসে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আবেদন লিঙ্ক: https://svmcm.wbhed.gov.in
২. কন্যাশ্রী প্রকলপ (Kanyashree Prakalpa):
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই উদ্যোগটি মেয়েদের উচ্চশিক্ষায় উৎসাহিত করতে প্রদান করা হয়। K2 কম্পোনেন্টের আওতায়, ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে অবিবাহিত মেয়েরা এককালীন ২৫,০০০ টাকা পেতে পারেন। স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেয়েরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন।
আবেদন লিঙ্ক: https://wbkanyashree.gov.in
৩. পশ্চিমবঙ্গ মাইনরিটি ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ফিন্যান্স কর্পোরেশন (WBMDFC) স্কলারশিপ:
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়। স্নাতক পর্যায়ে আবেদনকারীদের পূর্ববর্তী পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর থাকতে হবে। পরিবারের বার্ষিক আয় নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে হতে হবে। বৃত্তির পরিমাণ বিভিন্ন কোর্সের উপর নির্ভর করে।
আবেদন লিঙ্ক: https://wbmdfcscholarship.org
৪. ন্যাশনাল স্কলারশিপ পোর্টাল (NSP):
কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন স্কলারশিপের জন্য এই পোর্টালের মাধ্যমে আবেদন করা যায়। এখানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ কর্তৃক প্রদত্ত স্কলারশিপ পাওয়া যায়। প্রত্যেক স্কলারশিপের নিজস্ব যোগ্যতা ও শর্তাবলী রয়েছে।
আবেদন লিঙ্ক: https://scholarships.gov.in
৫. টাটা ট্রাস্ট স্কলারশিপ:
টাটা ট্রাস্ট বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষে উচ্চশিক্ষার জন্য স্কলারশিপ প্রদান করে। আবেদনকারীদের একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে এবং আর্থিকভাবে দুর্বল হতে হবে।
টাটা ট্রাস্টস তাদের বিভিন্ন স্কলারশিপ প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেধাবী ও আর্থিকভাবে দুর্বল শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করে। প্রতিটি স্কলারশিপের নিজস্ব যোগ্যতা ও শর্তাবলী রয়েছে। নিচে কিছু উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপের যোগ্যতা ও বিস্তারিত তথ্য প্রদান করা হলো:
১. টাটা স্কলারশিপ ফর কর্নেল ইউনিভার্সিটি (Tata Scholarship for Cornell University):
এই স্কলারশিপটি কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য ভারতীয় শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- আবেদনকারীকে ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
- কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে স্নাতক কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
- আর্থিকভাবে সহায়তার প্রয়োজন থাকতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- কর্নেল ইউনিভার্সিটির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ভর্তি ও স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হবে।
২. টাটা স্টিল মিলেনিয়াম স্কলারশিপ (Tata Steel Millennium Scholarship):
টাটা স্টিলের কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য এই স্কলারশিপটি প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- টাটা স্টিলের স্থায়ী কর্মচারীদের সন্তান হতে হবে।
- শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- টাটা স্টিলের অভ্যন্তরীণ চ্যানেলের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৩. টাটা ক্যাপিটাল পাঙ্খ স্কলারশিপ (Tata Capital Pankh Scholarship):
এই স্কলারশিপটি ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এবং স্নাতক ও ডিপ্লোমা কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য: ন্যূনতম ৬০% নম্বর এবং পরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
- স্নাতক ও ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের জন্য: ন্যূনতম ৬০% নম্বর এবং পরিবারের বার্ষিক আয় ৪ লক্ষ টাকার কম হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- টাটা ক্যাপিটালের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
৪. লেডি মেহেরবাই ডি টাটা এডুকেশন ট্রাস্ট স্কলারশিপ (Lady Meherbai D Tata Education Trust Scholarship):
এই স্কলারশিপটি বিদেশে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে সমাজকল্যাণ, শিশু কল্যাণ, শিক্ষা এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের শিক্ষার মতো বিষয়গুলিতে পড়াশোনার জন্য মহিলাদের প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- ভারতীয় মহিলা নাগরিক হতে হবে।
- উল্লেখিত বিষয়গুলিতে বিদেশে স্নাতকোত্তর কোর্সে ভর্তি হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- টাটা ট্রাস্টসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে আবেদন করতে হবে।
৫. টাটা ট্রাস্টস মেডিক্যাল অ্যান্ড হেলথকেয়ার স্কলারশিপ (Tata Trusts Medical and Healthcare Scholarship):
মেডিক্যাল এবং হেলথকেয়ার সম্পর্কিত বিভিন্ন কোর্সের শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপটি প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- পূর্ববর্তী একাডেমিক বছরে ন্যূনতম ৬০% নম্বর বা সমতুল্য CGPA থাকতে হবে।
- আর্থিকভাবে সহায়তার প্রয়োজন থাকতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- টাটা ট্রাস্টসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
৬. টাটা ইনোভেশন ফেলোশিপ (Tata Innovation Fellowship):
গবেষণার প্রচারের জন্য এই ফেলোশিপটি প্রদান করা হয়।
যোগ্যতা:
- গবেষণার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান থাকতে হবে।
- ভারতীয় বিজ্ঞানী বা গবেষক হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- টাটা ট্রাস্টসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
উপরের স্কলারশিপগুলোর জন্য আবেদন করার পূর্বে টাটা ট্রাস্টসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে বিস্তারিত তথ্য ও সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি দেখে নেওয়া উচিত। প্রতিটি স্কলারশিপের আবেদন প্রক্রিয়া ও সময়সীমা ভিন্ন হতে পারে, তাই সময়মতো আবেদন করা গুরুত্বপূর্ণ।
আবেদন লিঙ্ক: https://www.tatatrusts.org
7. নবান্ন স্কলারশিপ:
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিলের অধীনে পরিচালিত একটি বৃত্তি কর্মসূচি, যা আর্থিকভাবে দুর্বল ও মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা প্রদান করে। এই স্কলারশিপটি দক্ষিণবঙ্গের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘নবান্ন স্কলারশিপ’ এবং উত্তরবঙ্গের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘উত্তরকন্যা স্কলারশিপ’ নামে পরিচিত।
যোগ্যতা ও শিক্ষাগত মানদণ্ড:
- আবাসিকতা: আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্বীকৃত বোর্ড, কাউন্সিল বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হতে হবে। বিভিন্ন স্তরে ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে যোগ্যতা নির্ধারিত হয়:
- উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির জন্য: মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬৫% নম্বর।
- স্নাতক স্তরে ভর্তির জন্য: উচ্চ মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬০% নম্বর।
- স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির জন্য: স্নাতকে ন্যূনতম ৫৫% নম্বর।
- উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ভর্তির জন্য: মাধ্যমিকে ন্যূনতম ৬৫% নম্বর।
- আর্থিক সীমা: আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৬০,০০০ টাকার কম হতে হবে।
- অন্যান্য স্কলারশিপ: যেসব শিক্ষার্থী ইতিমধ্যে অন্য কোনো সরকারি স্কলারশিপ পাচ্ছেন বা আবেদন করেছেন, তারা নবান্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন না।
আবেদন প্রক্রিয়া:
নবান্ন স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে হলে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- আবেদনপত্র পূরণ: সরকারি ওয়েবসাইট থেকে আবেদনপত্র ডাউনলোড করে সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে।
- প্রয়োজনীয় নথি সংযুক্তি:
- সাম্প্রতিক পরীক্ষার মার্কশিটের স্বপ্রমাণিত প্রতিলিপি।
- বর্তমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তির প্রমাণপত্র।
- সরকারি গেজেটেড অফিসার দ্বারা স্বাক্ষরিত পরিবারের আয়ের শংসাপত্র।
- আবেদনকারীর বাসস্থানের প্রমাণপত্র।
- এন্ট্রান্স পরীক্ষার র্যাঙ্ক কার্ড (যদি প্রযোজ্য হয়)।
- এলাকার বিধায়ক (MLA) বা সংসদ সদস্য (MP) কর্তৃক সুপারিশপত্র।
- সাম্প্রতিক পরীক্ষার মার্কশিটের স্বপ্রমাণিত প্রতিলিপি।
- আবেদনপত্র জমা: পূর্ণাঙ্গ আবেদনপত্র ও প্রয়োজনীয় নথি সরাসরি নবান্ন বা উত্তরকন্যা ভবনে জমা দিতে হবে।
আবেদন জমার ঠিকানা:
- দক্ষিণবঙ্গের জন্য:
নবান্ন, ১৪তম তলা, ৩২৫ শরৎ চ্যাটার্জি রোড, শিবপুর, হাওড়া-৭১১১০২। - উত্তরবঙ্গের জন্য:
উত্তরকন্যা, পি.ও. স্যাটেলাইট টাউনশিপ, ফুলবাড়ি, জলপাইগুড়ি-৭৩৪০১৫।
আবেদন সময়সীমা:
নবান্ন স্কলারশিপের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই। শিক্ষার্থীরা তাদের বর্তমান কোর্সের যেকোনো সময়ে আবেদন করতে পারেন।
বৃত্তির পরিমাণ:
নবান্ন স্কলারশিপের মাধ্যমে প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরে ১০,০০০ টাকা প্রদান করা হয়। তবে কোর্সের ধরন ও সময়সীমার ভিত্তিতে এই পরিমাণ পরিবর্তিত হতে পারে।
যোগাযোগ:
আবেদন প্রক্রিয়া বা অন্যান্য তথ্যের জন্য নিম্নলিখিত হেল্পলাইন নম্বরে যোগাযোগ করা যেতে পারে:
- (০৩৩) ২২১৪ ১৯০২
- (০৩৩) ২২৫৩ ৫২৭৮
নবান্ন স্কলারশিপ আর্থিকভাবে দুর্বল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা প্রদানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। যোগ্য শিক্ষার্থীদের এই সুযোগ গ্রহণ করে তাদের শিক্ষাজীবনকে সমৃদ্ধ করার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
৭. আদিত্য বিড়লা স্কলারশিপ:
আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল স্কলারশিপ ২০২৪-২৫ শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগত ব্যয়ভার লাঘব করতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে, যাতে তারা তাদের শিক্ষাজীবন নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে পারে। এই স্কলারশিপের আওতায় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং স্নাতক পর্যায়ের শিক্ষার্থীরা এককালীন সর্বোচ্চ ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা পেতে পারেন।
যোগ্যতা:
- শ্রেণি ৯ থেকে ১২ শিক্ষার্থীদের জন্য:
- আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- বর্তমানে নবম, দশম, একাদশ বা দ্বাদশ শ্রেণিতে অধ্যয়নরত হতে হবে।
- পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে ন্যূনতম ৬০% নম্বর বা সমতুল্য গ্রেড অর্জন করতে হবে।
- পরিবারের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা হতে হবে।
- স্নাতক শিক্ষার্থীদের জন্য:
- আবেদনকারীকে ভারতের নাগরিক হতে হবে।
- বর্তমানে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় বা প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়নরত হতে হবে।
- পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষে ন্যূনতম ৬০% নম্বর বা সমতুল্য গ্রেড অর্জন করতে হবে।
- পরিবারের বার্ষিক আয় সর্বোচ্চ ৬ লক্ষ টাকা হতে হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
আগ্রহী শিক্ষার্থীরা বাডি৪স্টাডি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন করতে পারেন। আবেদন করতে নিম্নলিখিত ধাপগুলি অনুসরণ করতে হবে:
- ওয়েবসাইটে লগইন বা নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন।
- ‘আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল স্কলারশিপ ২০২৪-২৫’ প্রোগ্রামটি খুঁজে বের করুন।
- আবেদন ফর্ম পূরণ করুন এবং প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন।
- আবেদন জমা দিন এবং নিশ্চিতকরণ মেসেজ বা ইমেইল গ্রহণ করুন।
প্রয়োজনীয় নথি:
- সাম্প্রতিক পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পরিচয়পত্র (আধার কার্ড, ভোটার আইডি ইত্যাদি)
- পূর্ববর্তী শিক্ষাবর্ষের মার্কশিট
- পরিবারের আয়ের প্রমাণপত্র
- ব্যাংক পাসবুকের প্রথম পাতার কপি
গুরুত্বপূর্ণ তারিখ:
আবেদনের শেষ তারিখ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য বাডি৪স্টাডি ওয়েবসাইট পরিদর্শন করুন।
যোগাযোগ:
কোনো প্রশ্ন বা সমস্যার জন্য, শিক্ষার্থীরা নিম্নলিখিত যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করতে পারেন:
- ফোন: ০১১-৪৩০-৯২২৪৮ (Ext – 268) (সোমবার থেকে শুক্রবার – সকাল ১০:০০ থেকে সন্ধ্যা ৬:০০ পর্যন্ত)
- ইমেইল: adityabirlacapital@buddy4study.com
উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে, আদিত্য বিড়লা ক্যাপিটাল স্কলারশিপ ২০২৪-২৫ শিক্ষার্থীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ, যা তাদের শিক্ষাগত ব্যয়ভার লাঘব করতে সহায়তা করবে এবং শিক্ষাজীবনে উন্নতির পথে এগিয়ে যেতে প্রেরণা জোগাবে।
আবেদন লিঙ্ক: https://www.adityabirlascholars.net
৮. হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (HUL) স্কলারশিপ:
হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড (HUL) বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সহায়তা করে, তবে তারা সরাসরি কোনো স্কলারশিপ প্রদান করে না। তবে, HUL-এর কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (CSR) কার্যক্রমের আওতায় ‘প্রেরণা’ (Prabhat) নামে একটি উদ্যোগ রয়েছে, যা শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে সমাজের উন্নয়নে কাজ করে।
‘প্রেরণা’ উদ্যোগের আওতায় শিক্ষামূলক কার্যক্রম:
- শিক্ষা সহায়তা: HUL স্থানীয় সম্প্রদায়ের স্কুলগুলিতে শিক্ষা সামগ্রী, পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
- স্কিল ডেভেলপমেন্ট: যুবসমাজের জন্য বিভিন্ন দক্ষতা উন্নয়ন প্রোগ্রাম আয়োজন করে, যা তাদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করে।
আবেদন প্রক্রিয়া ও যোগ্যতা:
যেহেতু HUL সরাসরি স্কলারশিপ প্রদান করে না, তাই নির্দিষ্ট আবেদন প্রক্রিয়া বা যোগ্যতার মানদণ্ড নেই। তবে, তাদের CSR কার্যক্রমের আওতায় স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হতে পারেন। এই কার্যক্রমগুলি সাধারণত HUL-এর কারখানা বা অফিসের পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিচালিত হয়।
প্রস্তাবনা:
যদি আপনি HUL-এর শিক্ষামূলক কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান বা অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক হন, তাহলে স্থানীয় HUL অফিস বা কারখানার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। এছাড়া, তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট বা CSR রিপোর্ট পর্যালোচনা করে সর্বশেষ তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন।
উপসংহার:
হিন্দুস্তান ইউনিলিভার লিমিটেড সরাসরি স্কলারশিপ প্রদান না করলেও, তাদের সামাজিক উদ্যোগের মাধ্যমে শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। স্থানীয় সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা এই কার্যক্রম থেকে উপকৃত হতে পারেন।
আবেদন লিঙ্ক: https://www.hul.co.in
৯. মহিন্দ্রা অল-ইন্ডিয়া ট্যালেন্ট স্কলারশিপ:
মাহিন্দ্রা অল ইন্ডিয়া ট্যালেন্ট স্কলারশিপ (MAITS) কেসি মাহিন্দ্রা এডুকেশন ট্রাস্ট কর্তৃক ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এই স্কলারশিপটি আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের শিক্ষার্থীদের জন্য, যারা স্বীকৃত সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে চাকরিমুখী ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হয়েছেন। প্রতি বছর প্রায় ৫৫০ জন শিক্ষার্থীকে এই স্কলারশিপ প্রদান করা হয়, যেখানে প্রতি শিক্ষার্থীকে বছরে ১০,০০০ টাকা করে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য দেওয়া হয়। citeturn0search0
যোগ্যতা:
- শিক্ষাগত যোগ্যতা: আবেদনকারীকে ১০ম বা ১২শ শ্রেণিতে (SSC/HSC বা সমতুল্য) ন্যূনতম ৬০% নম্বর পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- ভর্তির অবস্থা: আবেদনকারীকে প্রথম বর্ষে স্বীকৃত সরকারি বা অন্য কোনো স্বীকৃত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ডিপ্লোমা কোর্সে ভর্তি হতে হবে। শুধুমাত্র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন।
- আর্থিক অবস্থা: আবেদনকারীর পরিবারের বার্ষিক আয় কম হতে হবে, যা আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবারের অন্তর্ভুক্ত।
বিশেষ বিবেচনা:
- মেয়েশিক্ষার্থী, নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তান, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এবং সশস্ত্র বাহিনী বা অন্যান্য কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কর্মচারীদের সন্তানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
আবেদন প্রক্রিয়া:
- আবেদনপত্র অনলাইনে পূরণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র আপলোড করতে হবে।
- আবেদন করার পূর্বে প্রয়োজনীয় নথিপত্রের তালিকা ডাউনলোড করে সেগুলোর স্ক্যান কপি প্রস্তুত রাখতে হবে।
এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করার সময়সীমা প্রতি বছর পরিবর্তিত হতে পারে। সর্বশেষ তথ্যের জন্য কেসি মাহিন্দ্রা এডুকেশন ট্রাস্টের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট পরিদর্শন করা উচিত।
আবেদন লিঙ্ক: https://www.kcmet.org
১০. ইনস্পায়ার স্কলারশিপ (INSPIRE Scholarship):
বিজ্ঞান বিষয় নিয়ে স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনা করা শিক্ষার্থীদের জন্য এই স্কলারশিপটি প্রদান করা হয়। আবেদনকারীদের উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান বিভাগে ন্যূনতম ৮৫% নম্বর থাকতে হবে। বৃত্তির পরিমাণ বছরে ৮০,০০০ টাকা।
আবেদন লিঙ্ক: https://online-inspire.gov.in
উপরের স্কলারশিপগুলোর মধ্যে কিছুতে আপনার নম্বরের ভিত্তিতে আবেদন করা যেতে পারে। তবে, প্রতিটি স্কলারশিপের নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও শর্তাবলী রয়েছে।
ভিডিওটি আপনার ফ্রেন্ডলিস্টের মাঝে শেয়ার করুন যাতে তাদেরও উপকার হয়। আমাদের এই চ্যানেলে আপনি নতুন ভিজিটর হয়ে থাকলে সাবস্ক্রাইব করে বেল আইকনটি প্রেস করে রাখুন। তাহলে স্কলারশিপ সংক্রান্ত সমস্ত আপডেট পেয়ে যাবেন।